সীতাকুণ্ড (Sitakunda) অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি ভ্রমণ প্রেমী মানুষদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র। এই ভ্রমণ স্থানটি বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্যকে হাজারগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রত্যেকটা পর্যটকদের মূল আকর্ষণ করে থাকে। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু পর্যটক প্রতিনিয়ত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ছুটে আসে।
ভ্রমণপ্রেমী মানুষদের কাছে এটি হয়ে উঠেছে একটি অপরূপ সৌন্দর্যময় দর্শনীয় স্থান। এখানে রয়েছে নদী পাহাড় ঝর্ণা এই তিন মিলে এই সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ। তাই সীতাকুণ্ড ভ্রমণ (Sitakunda travel) করার জন্য পর্যটকরা ছুটে আসে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে থাকে। এবং এখানে রয়েছে কিছু উল্লেখযোগ্য অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় দর্শনীয় স্থান।
যেগুলো পর্যটকদের মাঝে খুব আকর্ষণীয় সে দর্শনীয় স্থানগুলো হল, কুমিরা ঘাট, চন্দ্রনাথ পাহাড় ,গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, কমলদহ ঝর্ণা, ঝারঝারি ঝর্ণা, মহামায়া লেক এবং রয়েছে সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক। এই দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের মাঝে খুব জনপ্রিয় । এবং এই স্থানগুলো সীতাকুণ্ড (Sitakunda) আরো অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় হয়ে উঠেছে এই দর্শনীয় স্থানগুলো সীতাকুণ্ড মূল সৌন্দর্য হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়।
এই সীতাকুণ্ড ভ্রমণ (Sitakunda travel)করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভিড় করে থাকে। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। এই দর্শনীয় স্থান গ্রহণ করার জন্য আপনারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খুব সহজেই বাস, ট্রেন, এর মাধ্যমে ভ্রমণে আসতে পারে। এবং উপভোগ করতে পারেন সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এবং এখানকার সবথেকে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হল।
চন্দ্রনাথ পাহাড় যা প্রত্যেকটা পর্যটকদের মাঝে খুব জনপ্রিয় সীতাকুণ্ড ভ্রমণে (Sitakunda travel) আসলে প্রত্যেকটা পর্যটকই চন্দ্র পাহাড় ভ্রমণ করে থাকেন এবং জননাত পাহাড়ের চূড়ায় উঠেন অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাক্ষী হবার জন্য। এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে পুরোটা ওঠার জন্য রয়েছে সিঁড়ি যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই চলরাত পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে পারবেন। এবং পাহাড়ের চূড়া থেকে সীতাকুণ্ড কত অপরূপ সুন্দর তা উপভোগ করতে পারবেন।
এই সীতাকুণ্ড (Sitakunda) চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উচ্চতা হল প্রায় ১১৫২ ফুট। যা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ পর্যটকরা খুব আনন্দ শহীদ এই পাহাড়টি ভ্রমণ করে থাকেন এবং এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। এবং এই পাহাড়টি ছাড়াও এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ বিভিন্ন স্থান যা পর্যটকরা ভ্রমণ করে থাকে।
এই সীতাকুণ্ড চন্দনাথ পাহাড় অবস্থিত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি এলাকায় যা প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে। এখানকার সৌন্দর্য পর্যটকদের মুক্ত করতে বাধ্য। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
সীতাকুণ্ড পাহাড়ের উচ্চতা
সীতাকুণ্ড পাহাড় বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র। এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পাহাড় যার উচ্চতা ১১৫২ বা ৩৫০ কিলোমিটার। দেশের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র মধ্যে এটি অন্যতম একটি। এটি তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তাই তো সীতাকুণ্ড ভ্রমণ (Sitakunda travel) করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটক বিল করে থাকেন এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
সীতাকুণ্ড কোথায় অবস্থিত
সীতাকুণ্ড বাংলা চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এবং চট্টগ্রাম মেইন শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে এই সীতাকুণ্ড অবস্থিত। এবং এই সীতাকুণ্ড তার পাহাড়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটন আকর্ষণগুলির জন্য পরিচিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র। এবং বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্থান। যার জন্য পর্যটকদের মাঝে খুব জনপ্রিয় এই সীতাকুণ্ড।
সীতাকুণ্ড পাহাড়
সীতাকুণ্ড (Sitakunda) পাহাড় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় এই স্থানটি পর্যটকদের খুব আকর্ষণীয়। এবং এই সীতাকুণ্ড পাহাড় ভ্রমণ করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু পর্যন্ত ছুটে আসেন। এই সীতাকুণ্ড সুন্দর্য পর্যটকদের মুক্ত করে থাকে। সীতাকুণ্ড তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পাহাড় ঝর্ণা গাছ ও জীববৈচিত্রের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে। এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভ্রমণ করার জন্য সীতাকুণ্ড ছুটে আসে তার অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য।
সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক
সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। এটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রায় ৮০৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এবং এই ইকোপার্ক তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে। এই ইকোপার্কে দেখা মিলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং প্রাণীর।
এবং এই ইকোপার্কের ভিতরে রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান যা ইকোপার্কের সুন্দর্য আরো হাজার গুণ বাড়িয়ে তুলেছে। যে দর্শনীয় স্থান গুলো হল চন্দ্রনাথ পাহাড়,জলপ্রপাত,ট্রেকিং রুট,বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও প্রাণী, এবং চন্দনাথ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত রয়েছে চন্দ্রনাথ মন্দির। যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র তীর্থস্থান। এবং ইকোপার্ক ভিতরে রয়েছে ছোট- মাঝারি আকারের জলপ্রপাত যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
এবং এই সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিপূর্ণ। এবং এখানকার জীববৈচিত্রের জন্য এই পার্কটি খুব জনপ্রিয়। তাই পর্যটকরা সীতাকুণ্ড ভ্রমনে আসলে তাদের অন্যতম একটি মূল কেন্দ্রবিন্দুতে হিসাবে থাকে এই ইকোপার্ক। এটি পর্যটকদের মাঝে খুব জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ স্থান।
সীতাকুণ্ড বাজার
সীতাকুণ্ড (Sitakunda) বাজারে একটি বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়ী কেন্দ্র। এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করা হয়। এখানে স্থানীয়রা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রাই করতে আসেন। এবং এই বাজারটি বিভিন্ন ধরনের পণ্য, সেবা এবং ব্যবসার জন্য পরিচিত। এই বাজারটিতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। এবং এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় খাবার রেস্টুরেন্ট যেখানে সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়।
এবং এই সীতাকুণ্ড বাজার চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার -৩৭ কিলোমিটার দূরে এই সীতাকুন্ড বাজারটি অবস্থিত। এবং এই বাজারটি স্থানীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবং এখান থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। আর আশেপাশের এলাকার সাথে নিয়মিত বাস ও অন্যান্য পরিবহন সুবিধা পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ড কত কিলোমিটার
সীতাকুণ্ড বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক স্থান এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম মেইন শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ।
সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান
সীতাকুণ্ড বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র । এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের করে থাকে। এখানকার জীববৈচিত্র্যের কারণে সীতাকুণ্ড পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের মূল আকর্ষণ করে থাকেন। তবে এখানকার কিছু দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হয়ে থাকে। সে দর্শনীয় স্থানগুলো হল:-
- চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির
- সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন
- বটতলী ভিউ পয়েন্ট
- সাহেবকুন্ডু ও সীতাকুণ্ড গরম পানির ঝর্ণা
- গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
- মহামায়া লেক
- গুলিয়াখালী সী-বিচ
- সীতাকুণ্ড সমুদ্র সৈকত
- সুপ্তধারা জলপ্রপাত
- সহস্রধারা ওয়াটারফেল
- সহস্র ধারা লেক
- লৌহছড়া ট্রেইল
- ঝরঝরি ঝর্ণা
- সৈয়দপুর সমুদ্র সৈকত
সীতাকুণ্ড হোটেল ভাড়া
সীতাকুণ্ড (Sitakunda) বাংলাদেশের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হাজার হাজার পর্যটক সীতাকুণ্ড ভ্রমণ করার জন্য ছুটে আসেন। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য ও রূপব বৈচিত্রের সাক্ষী হওয়ার জন্য। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকদের মেলা মিলে এই সীতাকুণ্ডতে। সীতাকুণ্ড ভ্রমণ (Sitakunda travel) করে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করে রাত্রি যাপন করার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে।
সীতাকুণ্ড (Sitakunda) হোটেল ভাড়া নিতে পারেন আপনারা রাত্রি যাপন করার জন্য, এক একটি রুমের ভাড়া পড়বে ২০০০ হাজার থেকে ৩০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবং এখানে হাই ক্লাসরুম রয়েছে যার ভাড়া হয়ে থাকে ৩০০০ হাজার থেকে ৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবং পর্যটকরা নিজস্ব ক্লাস অনুযায়ী রুম বুকিং করতে পারে। এবং এখানে নিম্ন ক্লাসের রুম থেকে শুরু করে হাই ক্লাসের রুমের সুবিধা রয়েছে তাই পর্যটকরা তার নিজস্ব ক্লাস অনুযায়ী রুম বুকিং করতে পারে । এবং খুব আনন্দ শহিদ রাত্রিযাপন করতে পারে।
সীতাকুণ্ড যাতায়াত
সীতাকুণ্ড ভ্রমণে আসার জন্য বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে খুব সহজেই বাসের মাধ্যমে আসতে পারে। এবং ট্রেনের মাধ্যমেও ঢাকা থেকে খুব সহজেই আসতে পারেন। ঢাকা থেকে সরাসরি সীতাকুণ্ড ট্রেন আসে যার ভাড়া পড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা টাকা পর্যন্ত।
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড মেইল ট্রেন ভাড়া :- টিকিটের মূল্য নিয়ে থাকে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুন্ড ট্রেন ভাড়া :- চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুন্ড লোকাল বাসে করে খুব সহজেই যেতে পারেন যার ভাড়া পড়বে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং সিএনজি অটো রিস্কা এবং অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই সীতাকুণ্ড ভ্রমে যেতে পারেন
এবং ঢাকা থেকে বাসের মাধ্যমে খুব সহজেই সীতাকুণ্ড ভ্রমনে আসতে পারে যার এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। এবং নন এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। এভাবে আপনারা খুব সহজেই সীতাকুণ্ড ভ্রমণে (Sitakunda travel) যেতে পারে এবং তার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।
আরো পড়ুন:- মহাস্থানগড়
Leave a Reply