কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ( Cox’s Bazar Sea Beach) পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্য ময় স্থান। সমুদ্র সৈকত ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান।এখানে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত।
এখানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ভ্রমণের জন্য আসেন প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য, প্রায় প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ পর্যটক কক্সবাজার দর্শন করার জন্য আসে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিশ্বের বুকে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সমুদ্র সৈকত এর আশেপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান।
তা হলোঃ- সুগন্ধা বিচ,কলাতলী বীচ, ঝাউ বন, লাবনী বিচ, শৈবাল বীচ, সোনা দিয়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ ইত্যাদি ।কক্সবাজারের অন্যতম সৌন্দর্যময় এই স্থানগুলো।পর্যটকরা কক্সবাজারের এই সৌন্দর্যময় দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণের জন্য আসেন। এ কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য (Beautiful Cox’s Bazar Sea Beach) আর ফুটে ওঠেচে ।
পৃথিবীর নানা দেশের মানুষ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য আসেন ।কক্রবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সৌন্দর্যময় সৈকত। বিশ্বব্যাপী পর্যটকরা কক্সবাজার পরিদর্শন করতে আসেন। এখানে পৃথিবীর অন্যতম বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য ফুটে উঠেছেন। সমুদ্র সৈকতের অন্যতম সৌন্দর্যময় আর একটি হলো
মেরিন ড্রাইভ: এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য (Beautiful Cox’s Bazar Sea Beach) আরো বাড়িয়ে তুলছে। তাই কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য যারা আসেন তারা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ উপভোগ করেন এটি পর্যটকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।
এটি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ৮০ কিলো মিটার সড়ক এই সড়কের ২ পাশে রয়েছে পাহাড় সাগর। এক পাশে রয়েছে সাগরের অপরূপ সুন্দর আর অন্য পাশে রয়েছে পাহাড়। যার বৈচিত্র সৌন্দর্যময় মন কেড়ে নেওয়ার মতন।
এবং উঁচু নিচু পাহাড় বেয়ে নেমে আসছে পাহাড়ি ঝরনা পানির শীতলতা ও সবুজের আবচরণে অসাধারণ বলা যায় এক মুহূর্তের জন্য হারিয়ে যায় মন কারানো এই সৌন্দর্যে। এই সৌন্দর্য দেখার পরে প্রতিটি মানুষের মনকে অশান্ত করে তুলে এই পাহাড়ি ময় সুন্দর্য । এই সৌন্দর্যময় নিয়ে গড়ে উঠেছে এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। যা বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্থান।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত একটি মায়াবী ও রুপময় সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য অন্যতম সৌন্দর্যময় স্থান। এই সমুদ্র সৈকত প্রতিদিন তার রূপ পরিবর্তন করে। শীত-বসন্ত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ইত্যাদি ছয়টি ঋতুতে এই সমুদ্র সৈকতের মিল খুজে পাওয়া যায় প্রতিটি ঋতুতে সমুদ্র সৈকত তার সৌন্দর্যময় বিচরণ দিয়ে পর্যটকদের খুশি করে থাকে।
প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্যময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার পর্যটকদের প্রাণ প্রিয় ভ্রমণ স্থান হয়ে উঠেছে। এবং বিশ্বের বুকে অন্যতম একটি সৌন্দর্যময় ভ্রমণ স্থান। এখানে মানুষ ছুটি কাটাতে আসেন তাদের সময়কে রঙিন করার জন্য এই সমুদ্র সৈকতের তীরে তারা ভ্রমণের জন্য আসেন।
এখানে সৌন্দর্যময় স্থান গুলো দেখে তারা মুগ্ধ হন । এখানে সৃষ্টির অন্যতম সৌন্দর্যময় নিদর্শন দেখা যায় এই কক্সবাজারে প্রতি বছর নানা বহির বিশ্ব থেকে পর্যটকরা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য আসেন।এই সৌন্দর্যময় স্থানটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কোনটি
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হলো :- কক্রবাজার সমুদ্র সৈকত ( Cox’s Bazar Sea Beach)।এই সমুদ্র সৈকতটি বিশ্বের ১ প্রথম তম সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত:- কক্রবাজার সমুদ্র সৈকত ( Cox’s Bazar Sea Beach) এর দৈর্ঘ প্রায় ১২০ কি.মি. এবং এর গভীরতা প্রায় ৫,০০০ মি প্রর্যন্ত হতে পারে । কক্রবাজার হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান
- বিচ প্যাভিলিয়ন
- লাবণী বিচ
- ঝাউ বন
- সানি বিচ পয়েন্ট
- শৈবাল বিচ পয়েন্ট
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- অগ্গমেধা বৌদ্ধ বিহার
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ
- সমুদ্র সৈকত
- নাফ নদী
- শাহপরীর দ্বীপ
- আদিনাথ মন্দির
- ইলিশিয়া জমিদার বাড়ি
- কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
- হিমছড়ির পাহাড়
- ছেঁড়া দ্বীপ,টেকনাফ
- শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
- রামু সেনানিবাস
- মানিকপুর
- মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার
- শাহ ওমরের সমাধি
- হিমছড়ি.বরইতলি ঝর্ণা
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের (beautiful cox’s bazar sea beach) আরো এক কারণ হলো এই দর্শনীয় স্থানগুলো।
কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
কক্সেসবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগে এই শহরটি অবস্থিত, এখানে মৎস্য বন্দর ও নানা সৌন্দর্যময় স্থান নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। এগুলো দেখতে পাওয়া যায় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপভোগ করা যায়। এবং এটি একটি দর্শনীয় পর্যটক কেন্দ্র। এটি চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত কক্সবাজার তার নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
কম খরচে কক্সবাজার হোটেল
সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার( cox’s bazar sea beach)। এখানে নিম্ন থেকে শুরু করে উচ্চমান পর্যন্ত হোটেল ভাড়া হয়ে থাকে। ভিআইপি থেকে আনভিআইপি পর্যন্ত সকল প্রকার হোটেল ভাড়া হয়ে থাকে। এখানে সর্বনিম্ন ১,০০০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ থেকে 15,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হোটেল ভাড়া হয়ে থাকে।
সর্বনিম্ন ভাড়া ১,০০০ হাজার থেকে ২,০০০হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং মাঝামাঝি বাঁড়া হলো ৩,০০০ হাজার থেকে ৫,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ ১০,০০০ হাজার থেকে 15,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হোটেল ভাড়া হয়ে থাকে।
কক্সবাজার হোটেল ভাড়া কত
হোটেলের ভাড়া সম্পর্কে জেনে নিন কোন হোটেলে কত টাকা ভাড়া হতে পারে আমরা কিছু হোটেলে ভাড়া সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
সীগাল হোটেল:- ভাড়া হতে পারে ৭,০০০ থেকে ১৩,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হোটেল হাইপেরিয়ন সি ওয়ার্ল্ড:- হোটেল ভাড়া হতে পারে ১,৫০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত।
হোটেল সি মুন:– হোটেল ভাড়া হতে পারে ৬,০০০থেকে ৭,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হোটেল মিশুক:- হোটেল ভাড়া হতে পারে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ হাজার টাকা পর্যনন্ত।
হোটেল কল্লো:- হোটেল ভাড়া হতে পারে ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ।
হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল লিঃ:- হোটেল ভাড়া হতে পারে ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হোটেল সি ওয়ার্ল্ড:- হোটেল ভাড়া হতে পারে ৩,৫০০ থেকে ৫,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত
প্রাসাদ প্যারাডাইস:- হোটেলের ভাড়া হতে পারে ৪,৪০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫,৫০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হিলটন টাওয়ার লিমিটেড:- হোটেল ভাড়া হতে পারে ৭,০০০ হাজার থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
দি সি প্রিন্সেস:- হোটেল ভাড়া হতে পারে ৫,৫০০ টাকা থেকে ৭,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
শাহজাদি রিসোর্ট:- হোটেলের ভাড়া হতে পারে ৩,০০০ হাজার থেকে৪,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হোটেল স্যুট সাদাফ:- হোটেলের ভাড়া হতে পারে ৯,০০০ থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মডার্ন রিসোর্ট:- হোটেলের ভাড়া হতে পারে ৭,৫০০ থেকে ৮,০০০হাজার টাকা পর্যন্ত।
হোটেল কক্স রোটানা :- হোটেলের ভাড়া হতে আরে ৫,০০০হাজার থেকে ৬,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ:- হোটেলের ভাড়া হতে পারে ১১,০০০ হাজার থেকে ১২,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এ হোটেল গুলো সমুদ্র সৈকতের নিকটে।
কক্সবাজার বাস ভাড়া
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আপনারা আসতে পারেন বিভিন্ন মাধ্যমে ফ্লাইট বাস ট্রেন এভাবে আপনারা ঢাকা থেকে খুব সহজে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য আসতে পারেন আপনারা কিভাবে আসবেন এবং আসতে বাস ফ্লাইট ট্রেনের কত টাকা টিকিটে নিতে পারে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।ঢাকা থেকে এসি বাসে ২,০০০ হাজার টাকা এবং নন এসিতে ১,১০০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে ট্রেনের টিকিটের মূল্য ৬৯৫ টাকা নিতে পারে।এবং ফ্লাইটে যদি আসেন তাহলে ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে এবং সারা বাংলাদেশ থেকেই আপনার কক্সবাজার বাসে আসতে পারেন।
সিলেট থেকে কক্সবাজার:- এসি বাসে ২,০০০ টাকা এবং নন এসি ৯৫০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে এবং ফ্লাইটের টিকিটের মূল্য ৯,০০০ থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এবং ট্রেনের টিকিটের মূল্য ৬৯৫ টাকা নিতে পারে।
কুমিল্লা থেকে কক্সবাজার:- এসি বাসে ১,৫০০ টাকা এবং নন এসিতে ৬০০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে ।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার:- এসি বাসে ৫০০ টাকা এবং নন এসিতে ২৫০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে এবং ফ্লাইটে ৬,০০০ থেকে ৮,০০০হাজার টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে এবং ট্রেনে ৫৫ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে।
বরিশাল থেকে কক্সবাজার:- এসি বাসে ২,৫০০ টাকা এবং নন এসিতে ১,৩৫০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে ফ্রাইডে টিকিটের মূল্য ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা নিতে পারে।
খুলনা থেকে কক্সবাজার:- এসি বাসে ২,০০০ হাজার টাকা এবং নন এসিতে ১,৩৫০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে।
ময়মনসিং থেকে কক্সবাজার:- এসিতে ১,৭০০ টিকিটের মূল্য নিতে পারে ট্রেনে ৩২০ থেকে ৩৮৫ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে।
রাজশাহী থেকে কক্সবাজার:- বাসে ১,৪০০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারেন এবং ফ্লাইটে ৬,০০০ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে ট্রেনে ৫১৫ টাকা টিকিটের মূল্য নিতে পারে ।
আপনারা খুব সহজেই এভাবে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য আসতে পারবেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য (beautiful cox’s bazar sea beach) উপভোগ করতে পারবেন।
Island and Travel : এসিলেন্ট এন্ড ট্রাভেল আপনাদের কাছে যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ও তার তথ্য তুলে ধরেছে। সেই তথ্যগুলো আমরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে রিচার্জ করে। আপনাদের কাছে আমরা ভালোটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
Leave a Reply