ঢাকা

লালবাগ কেল্লা (Lalbagh Fort) – ইতিহাস এবং ভ্রমণের বিস্তারিত।

লালবাগ কেল্লা (Lalbagh Fort) বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এই লালবাগ কেল্লা পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় গেশে অবস্থিত। এবং এই লালবাগ কেল্লা ঢাকা শহরে ৪০০ বছরের ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই মুঘল স্থাপনা। লালবাগ কেল্লা মুঘল আলমের বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন।

এই কেল্লায় ব্যবহার করা হয়েছে কষ্টি পাথর,মার্বেল পাথর আর রংবেরঙের টালি। এই অপরুপ ঐতিহাসিক নিদর্শন কেল্লাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬৭৮ সালে। সেই তৎকালীন সময়ে মুঘল সম্রাট আজম শাহ এই কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন।এই মুঘল সম্রাট আজম শাহ যদি ও কম সময়ও সম্রাট ছিলেন।

কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি এই অসাধারণ কাজটি শুরু করেন। এই সম্রাট আজম শাহ ছিলেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর পুত্র এবং সম্রাট শাহজাহানের নাতি যিনি তাজমহল তৈরির জন্য বিশ্ব  মাহলেব্যাপক সমাদৃত। এবং  এই লালবাগ কেল্লার (Lalbagh Fort) কাজ শুরু করার প্রায় এক বছর পরে সম্রাট আওরঙ্গজেবের বাবা তাকে তলফ করেন । 

তার জন্য দুর্গের কাজ সামরিক সময়ের জন্য স্থগিত করে তিনি দিল্লিতে চলে যেতে হয় । এবং সম্রাট আজম শাহ চলে যাওয়ার কারণে দুর্গের কাজ স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় দুর্গে কাজ আবার পুনরায় শুরু করা হয় যা পুনরায় শুরু করেন নবাব শায়েস্তা খাঁ।

কিন্তু চার বছর যেতেই এই  দুর্গের কাজ আবার বন্ধ হয়ে যায় তার কারণ নবাব শায়েস্তা খাঁ  এর মেয়ে  পরি বিবি মারা যাওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই দুর্গের  কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।কারণ সবাই মনে করত এই দুর্গটি অপয়া এটি পরিমনি বিবি  মৃত্যুর পরে সবাই মনে করতো এই  কারণে দুর্গটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় ।

এই ঐতিহাসিক প্রাচীন সাংস্কৃতি দিক স্থানটি ভ্রমণ করার জন্য (To visit this historical ancient cultural place)। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানকার ঐতিহাসিক ও রঙিন ইতিহাস জানার জন্য । এবং এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।  এই  কেল্লাটি বাংলাদেশের  অন্যতম একটি ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক দর্শনীয় স্থান।

যা প্রতিটি পর্যটকদেরই খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই ঐতিহাসিক স্থান দর্শন করার জন্য  প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পর্যটক দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। এটি একটি বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান। এই লালবাগ কেল্লার (Lalbagh Fort)  ইতিহাস জানার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক প্রত্যেকদিন ছুটে আসে ।

এই দুর্গে ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য। এবং জানা যায় যে এই  দুর্গে রয়েছে কষ্টিপাথর মার্বেল পাথর এবং রংবে রঙের টালি।  এই দুর্গে যে পাথর এবং যে রংবে রঙের টালি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশের অন্য কোন দুর্গে ব্যবহার করা হয়নি বলে জানা যায়।  এবং  এই দুর্গের আশপাশ অপরূপ সুন্দর এবং দুর্গটিও অপরূপ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ তাই কেউ ইতিহাসের টানে বা কেউ এখানকার সৌন্দর্য টানে ছুটে আসে।

লালবাগ কেল্লা কে নির্মাণ করেন

লালবাগ কেল্লা (Lalbagh Fort) আওরঙ্গবাদ নামেও পরিচালিত হয়ে ছিল ১৭ শতকে নির্মাতা একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গ স্থাপনা। এই দুর্গটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৬৭৮ সালে , মুঘল সুবাদার মোহাম্মদ আজম শাহ এই  দুর্গের নির্মাণ কাজে শুরু করেন। 

এবং তিনি এই দুর্গটি নির্মাণ করার  এক বছর এর মধ্যেই দিল্লি চলে যেতে হয়। যার জন্য  দুর্গতির কাজ সামরিক সময়ের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে নবাব শায়েস্তা খাঁ এই দুর্গটি নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করেন।

লালবাগ কেল্লা কোথায় অবস্থিত

লালবাগ কেল্লা (Lalbagh Fort) পুরান ঢাকার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে  অবস্থিত। একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন দুর্গ যেটি একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গ । এই দুর্গের কাজ শুরু হয়েছিল ১৬৭৮ সালে। এই অসমাপ্ত  দুর্গের নির্মাণ কাজ সর্বপ্রথম শুরু করেন  মোগল সুবেদার  মুহাম্মদ আজম শাহ।

লালবাগ কেল্লা কবে বন্ধ থাকে

লালবাগ কেল্লা কবে বন্ধ থাকে

লালবাগ কেল্লা (Lalbagh Fort) বন্ধ থাকে প্রত্যেক রবিবার দিন এবং সরকারি ছুটির দিন ও বন্ধ থাকে। এছাড়া লালবাগ কেল্লা খোলা থাকে সোমবার দিন দুপুর ২:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এছাড়া  অন্য অন্য দিন সকাল  ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর শীতকালীন সময়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

লালবাগ কেল্লা টিকেট মূল্য

লালবাগ কেল্লা একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন মুঘল দুর্গ (Lalbagh Fort is a historical ancient Mughal fort)। যা পরিদর্শন করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসে। এই  লালবাগ কেল্লায়  প্রবেশের টিকিটের মূল্য  জনপ্রতি ২০ টাকা নিয়ে থাকে। এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে টিকিটের মূল্য নিয়ে থাকে জনপ্রতি ২০০ টাকা।

লালবাগ কেল্লা যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে খুব সহজেই আপনারা লালবাগ কেল্লায় আসতে পারেন।  বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে ঢাকার গুলিস্তানরে গোপাল শাহ মাজার আসতে হবে। সেখান থেকেআপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে লালবাগ কেল্লায় যেতে পারেন।  রিস্কা অথবা লেগুনাতে করে কেল্লায় খুব সহজেই আপনারা যেতে পারেন।  

এবং গুলিস্তানের নিউমার্কেট থেকে রিস্কায় করে আপনারা যেতে পারেন  এবং ভাড়া নিতে পারে ৪০ থেকে ৫০টাকা পর্যন্ত। এভাবে আপনারা খুব সহজেই লালবাগ কেল্লা যেতে পারে। এবং লালবাগ কেল্লার সৌন্দর্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন। এবং কেল্লার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

আরো পড়ুণ : পানাম নগর (Panam Nagar) যা যা দেখবেন এবং ভ্রমণের বিস্তারিত।

abuhanifa

Recent Posts

সুনামগঞ্জ (Sunamganj) ভ্রমণ গাইড,যাতায়াত,হোটেল খরচ এবং ভ্রমণের বিস্তারিত।

সুনামগঞ্জ (Sunamganj) বাংলাদেশে অন্যতম একটি পর্যটক  কেন্দ্র। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ করে থাকেন।…

55 years ago

সীতাকুণ্ড ভ্রমণ গাইড -যাতায়াত, হোটেল খরচ এবং ভ্রমণের বিস্তারিত।

সীতাকুণ্ড (Sitakunda) অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি ভ্রমণ প্রেমী মানুষদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ…

55 years ago

মহাস্থানগড় (Mahasthangarh) ভ্রমণগাইড,যাতায়াত, হোটেল খরচ এবং ভ্রমণের বিস্তারিত।

মহাস্থানগড় (Mahasthangarh) বাংলাদেশের অন্যতম একটি  ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, এবং প্রাচীন পুরাকীর্তি। এই মহাস্থানগড় বাংলাদেশের বগুড়া…

55 years ago

শালবন বিহার – Shalbon Bihar – ভ্রমণ গাইড এবং ভ্রমণের সকল বিস্তারিত।

শালবন বিহার (Shalbon Bihar) বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। এই  শালবন বিহার প্রাচীন বৌদ্ধ …

55 years ago

শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (Srimangal Resorts) যাতায়াত, হোটেল খরচ এবং ভ্রমণের বিস্তারিত।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা (Sreemangal Upazila) বাংলাদেশের অন্যতম একটি সৌন্দর্যময় স্থান এটি সিলেটে বিভাগের অন্যতম সৌন্দর্য দর্শনীয়…

55 years ago

সিলেট ভ্রমণ (Sylhet Travel) যাতায়াত, হোটেল খরচ এবং ভ্রমণের বিস্তারিত।

সিলেট (Sylhet) বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র । এই সিলেট অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  পরিপূর্ণ। এই…

55 years ago