শালবন বিহার (Shalbon Bihar) বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। এই শালবন বিহার প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার গুলির মধ্যে অন্যতম একটি । তাই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু পর্যটক এখানকার ঐতিহাসিক ও প্রাচীন সাংস্কৃতিক সম্পর্কে জানার জন্য ও এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটে আসেন।
এবং এই ঐতিহাসিক প্রাচীন শহরটি নির্মিত হয়েছিল পাল রাজ্য বংশের সময়। তা প্রায় ৭ থেকে ৮ তম শতকে এবং মনে করা হয় এটি নির্মাণ হয়েছিল রাজা ধর্মপালের শাসন আমলের সময়। এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অধ্যয়ন ও ধর্মচর্চার কেন্দ্র ছিল এই প্রাচীন বিহারটি। শালবন বিহার এর চারদিকে রয়েছে ছোট ছোট ১১৫ টি কক্ষ।
এবং রয়েছে কক্ষ গুলির সামনে খোলা বারান্দা যা ছিল বিহারের ভিক্ষুদের বাসস্থান ও ধ্যানের জন্য ব্যবহৃত হত। এবং বিহারের মূল কেন্দ্রস্থলে ছিল একটি প্রধান মন্দির যেখানে বুদ্ধের মূর্তি ছিল।এবং মনে করা হয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। এবং আরো অনুমান করা যায় যে বিহারটির সার্বিক সংস্কার করা হয়। এবং জানা যায় নবম দশম শতাব্দীতে চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়।
এবং জানা যায় শালবন বিহার ১৯৫৫ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয়। খননের ফলে সেখানে বিভিন্ন স্তরে মুদ্রা, মৃৎপাত্র এবং অন্যান্য প্রত্নবস্তু পাওয়া যায়। এ থেকেই জানা যায় যে বিহারের নির্মাণকাল ও বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস সম্পর্কে। এবং এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করে। তাই বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র।
এবং বলা যায় শালবন বিহার বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। তাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন এখানকার প্রাচীন ইতিহাস ও সাংস্কৃতি সম্পর্কের জানার জন্য। এবং এখানে রয়েছে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর সেখানে এই বিহারের সকল তথ্য ও সংরক্ষিত রয়েছে নানা ঐতিহাসিক জিনিস। যা পর্যটকরা খুব আনন্দ শহীদ উপভোগ করে থাকেন।
এবং এই বিহারে ভ্রমণ করার জন্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেমিক মানুষরা ছুটে আসেন এখানকার সাংস্কৃতিক ও প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন কেউ কেউ আসেন এখানকার ইতিহাস জানার জন্য আবার কেউ আসেন এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানকার সাংস্কৃতি উপভোগ করার জন্য।
এই বিহারটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। এই শালবন বিহার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ময়নামতিতে অবস্থিত। এবং বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটক স্থান। এবং এই বিহারটি কুমিল্লা থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এবং এই শালবন বিহার বৌদ্ধ ধর্মের সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে তাই গবেষক ও পর্যটকদের কাছে এটি একটি বিশেষ আকর্ষণীয়।
শালবন বিহার (Shalbon Bihar) বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র, এটি নির্মাণ হয়েছিল অষ্টম শতাব্দীতে দেব বংশের রাজা শ্রীভবদেবের শাসনামলে। এই বিহার টি ছিল একটি বৌদ্ধ মঠ ও শিক্ষাকেন্দ্র, যেখানে ভিক্ষুদের শিক্ষা ও ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালিত করা হতো। বিহারটিতে ছিল ছোট ছোট ১১৫ টি কক্ষ এবং বিহারটি বড় একটি আয়তাকার আকারে নির্মিত হয়েছিল। এবং কেন্দ্রস্থলে ছিল প্রধান মন্দির, যেখানে বুদ্ধের ধ্যানমগ্ন মূর্তি স্থাপিত ছিল।
এবং শালবন বিহারবিহার পাল সাম্রাজ্যের সময়কার বৈশিষ্ট্য বহন করে। এবং বিহারটি প্রায় ১৬৮ মিটার পরিমাপের একটি চৌকোন আকৃতির প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। যার ভিতরে রয়েছে ছোট ছোট ১১৫টি কক্ষ এবং সেগুলো ভিক্ষুদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হতো। এবং রয়েছে বিহারের মাঝখানে একটি বড় মন্দির সেই বৌদ্ধ মন্দিরটি ধর্মের উপাসনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির জন্য ব্যবহৃত করা হতো।
এবং ১৯৫৫ সালে বিহারের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হয়। এবং সেই খননের ফলে বিভিন্ন রকমের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছিল যেমন: মূর্তি, পাত্র, শিলালিপি ইত্যাদি এগুলো ১৯৫৫ সালে বিহার খননের মাধ্যমে আবিষ্কার করেছিল। যা প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ধারনা দিয়েছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছিল। আমরা সেই ১৯৫৫ সালের খননের মাধ্যমেবাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। এই শালবন বিহার বর্তমানে বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনের একটি সাক্ষী। এটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বহন করেন।
শালবন বিহার (Shalbon Bihar) বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক স্থান। এই বিহারটি বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই বিহার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ময়নামতি এলাকায় অবস্থিত। এবং এটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার এর ইতিহাস সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
শালবন বিহার বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত, যার উল্লেখযোগ্য কারণ এর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব। বিহার তার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতির জন্য খুব বিখ্যাত এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। এই স্থাপনাটি বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আমরা এই স্থাপনাটা ধারা বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারি।
এবং প্রাচীন সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জানতে পারে তো এটি আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যা ঐতিহাসিক হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনার ভিতরে এটি অন্যতম একটি স্থাপনা। যা বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানান দেয়।
শালবন বিহার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত। এবং কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিঃমিঃ পশ্চিমে ময়নামতি অঞ্চলে অবস্থিত। যা তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির জন্য খুব পরিচিত। এবং ময়নামতি লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বিহারটি যা বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বহন করে।
শালবন বিহার (Shalbon Bihar) বাংলাদেশ অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক অপরুপ নিদর্শন। এই স্থানটি ভ্রমণ করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানকার ইতিহাস ও সাংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য এটি বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ময়নামতি অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে যেতে পারেন কুমিল্লা থেকে আপনারা অটোতে বা রিস্কায় খুব সহজেই শালবন বিহার যেতে পারে এবং বিহারের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কে জানতে পারেন।
আরো পড়ুন: পানাম নগর
সুনামগঞ্জ (Sunamganj) বাংলাদেশে অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ করে থাকেন।…
সীতাকুণ্ড (Sitakunda) অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি ভ্রমণ প্রেমী মানুষদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ…
মহাস্থানগড় (Mahasthangarh) বাংলাদেশের অন্যতম একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, এবং প্রাচীন পুরাকীর্তি। এই মহাস্থানগড় বাংলাদেশের বগুড়া…
শ্রীমঙ্গল উপজেলা (Sreemangal Upazila) বাংলাদেশের অন্যতম একটি সৌন্দর্যময় স্থান এটি সিলেটে বিভাগের অন্যতম সৌন্দর্য দর্শনীয়…
সিলেট (Sylhet) বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র । এই সিলেট অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ। এই…
কিশোরগঞ্জ (kishoreganj) জেলা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক স্থান। এই জেলাটি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক…